ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু। ভারতের প্রথম শহীদ। ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন বয়সে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিলেন। মৃত্যুর মুহূর্তে গান গেয়েছিলেন-‘ হাসি হাসি পড়বো ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী’। দেশের জন্য তিনি প্রাণ দিতে যাচ্ছেন তাই ফাঁসির মধ্যেও তাঁর কত আনন্দ।দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্নে বিভোর এই বিপ্লবী দেশমাতৃকার চরণে নিজেকে নিবেদন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর কেশরী সংবাদপত্রে বালগঙ্গাধর তিলক স্বরাজ এর দাবিতে সরব হন। 74 তম স্বাধীনতা দিবসে সেই ক্ষুদিরাম বসু কেই দেখা গেল ওয়েব সিরিজে। কিন্তু যে অবস্থায় দেখা গেল তা বাঙ্গালীদের কাছে লজ্জার! জি ফাইভ এর ওয়েব সিরিজ’অভয় টু’ তে একটি দৃশ্য দেখা গেল।
এখানে দেখা যাচ্ছে থানায় বসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ অফিসার অভয় প্রতাপ সিং ওরফে কুনাল খেমু। এই দৃশ্যে দেখা গেল পাশের অপরাধীদের আঁকা ছবি টাঙ্গানো বোর্ডের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় দেশের কনিষ্ঠতম বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ছবি আঁকা! এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই এই ওয়েব সিরিজ বয়কটের ডাক দিয়েছেন সকলে। সৈয়দ নাজিয়া হাসান নামে একজন এই দৃশ্য টি টুইট করে লেখেন-“বাঙালি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু জি ফাইভ এর ওয়েবসিরিজ অভয় টু তে পলাতক অপরাধীদের তালিকায়। অবশ্য সিবিএস ই বা আইসিএস ই র পড়ুয়ারা চিনতে পারবেন না।তবে এখানে যদি আন্নাদুরাই ,এম জি রামচন্দ্রন কিংবা এন টি রামারাও এর ছবি থাকতো তাহলে দাক্ষিণাত্য কতটা ক্ষোভে ফেটে পড়তো বলুন তো!”

এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আস্তে নেটদুনিয়া সদস্যরা #Banzee5 দিয়ে পোস্ট করে চলেছেন অবিরাম। যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনো অবধি এই ওয়েব সিরিজের পরিচালক অথবা মুখ্য চরিত্রের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি! কিন্তু বাঙালি শহীদদের নিয়ে এত বড় অবহেলা কেন? এত বড় ভুল ই বা কি করে হলো প্রোডাকশন টিমের চোখ এড়িয়ে? বাঙালি বলেই এইরকম ভাবে অবহেলা করা হচ্ছে! উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। একাংশ অভয় টু ওয়েব সিরিজ এবং জি ফাইভ কে ব্যান করার দাবি তুলেছেন।
এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত পরিচালক কেন ঘোষ কিংবা মুখ্য চরিত্র কুণাল খেমুর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন কেমন করে এমন একটা মারাত্মক ভুল প্রোডাকশন টিম এমনকী ওয়েব প্ল্যাটফর্মের কর্তাদেরও চোখ এড়িয়ে গেল? বাঙালি বলেই কি এমন অবহেলা?